এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের ফাইনালের দিনে যেন পুরোনো দুঃস্বপ্নই ফিরে এলো। ম্যাচের শুরুতে দারুণ ছন্দে থাকলেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে এক সময় ৫৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সিনিয়র দলের মতোই ব্যাটিং ধস নামে জুনিয়রদের মধ্যেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে মূল এশিয়া কাপে যেমন ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখা গিয়েছিল, ঠিক সেরকমই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি হলো এই ম্যাচেও।
ইনিংসের ভরসা হয়ে ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার এসএম মেহেরব। কিন্তু আহমেদ দানিয়ালের বাউন্সারে ভুল টাইমিংয়ে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়ে ফেরেন তিনি। ২১ বলে ১৯ রানের ইনিংসটি শেষ হতেই বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নও কার্যত শেষ হয়ে যায়।
এর আগে দলকে চাপে ফেলে ফেরেন অধিনায়ক আকবর আলী, যিনি খুবই সহজে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন। মাত্র ১০ বলে ২ রান করে ফিরলে স্কোরবোর্ডে ৪৪ রানে পড়ে চার উইকেট। এর পরই প্রবেশ ঘটে ব্যাটিং ধসের—দ্রুত উইকেট হারাতে থাকেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
বিশেষ করে অঙ্কনের আউটটি ছিল হতাশাজনক। টি–টোয়েন্টি জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পাওয়ার দিনই তিনি ব্যাট করতে নামেন, কিন্তু মাত্র ৫ বল খেলে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আরফাত মিনহাসের বলে। তাঁর এই হতাশাজনক পারফরম্যান্স দলের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
ইনিংসের শুরুতে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন জিসান আলম ও হাবিবুর রহমান সোহান। প্রথম দুই ওভারেই ২১ রান তুলে দারুণ সূচনা এনে দেন তাঁরা। সোহান ১৭ বলে ২৬ রান করে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে রাখছিলেন। তবে সাদ মাসুদের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে তিনি ক্যাচ তুলে দেন। জিসানও ছক্কা হাঁকালেও ৪ বলে ৬ রানের বেশি এগোতে পারেননি।
শুরুতে যে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রদর্শন করেছিলেন তরুণ টাইগাররা, তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি দল। ফলে আবারও অপ্রত্যাশিত ও ব্যথিত করা এক পরাজয়ের সামনে দাঁড়াতে হয় বাংলাদেশকে—যা সমর্থকদের মনে আরও একটি নতুন ক্ষতের জন্ম দেয়।