আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান-এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফের প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন তাঁর স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহ। স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়া এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানে নারীদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার অভিযোগ এনে শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে সারাহ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি বিস্ফোরক পোস্ট দেন।
এর আগে গত ২ অক্টোবর রাতে একই ধরনের পোস্ট দিয়েছিলেন সারাহ, যা নিয়ে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন আবু ত্বহা আদনান তাঁর মোবাইল ফোন হারানোর কথা বলে অভিযোগ অস্বীকার করলে সারাহ সেই পোস্টটি সরিয়ে নেন এবং ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তবে আজকের পোস্টে তিনি বিষয়টি আবার সামনে এনেছেন।
সাবিকুন নাহার সারাহ তাঁর পোস্টে সরাসরি আবু ত্বহার বিরুদ্ধে এক এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ এনেছেন।
তিনি লিখেছেন, আমার বিছানায় বসে প্রেম করেন এক এয়ার হোস্টেস নারীর সঙ্গে। তিনি মাশাআল্লাহ। সেন্টারে কাজ আছে বলে রাত ৩টায় বাসায় আসেন। এসে আবার জানান তিনি তার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি যা-ই করেন, তা আবার গোপনের ধার ধারেন না। কারণ তিনিই সবচেয়ে বড় বলে জানান।
সারাহ এয়ার হোস্টেসের নাম উল্লেখ করে আরও লেখেন, আপনাদের উস্তাদ Abu Taw Haa Muhammad Adnan প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর আগের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেসের। তখন উস্তাদ ডেসপারেটলি তাকে চেয়েছিলেন নাকি, তখন তার টাকা নেই বলে পরিবার দেয়নি। এখন আবার জারিন জাবিন নামক ভদ্রমহিলা ডেসপারেটলি আপনাদের উস্তাদকে চাচ্ছেন। পুরোনো প্রেম নতুন রূপে, একটু বেশিই ফিলিংসে ডুবেছেন।
আবু ত্বহার পরিচালিত ‘যিন্নুরাঈন সেন্টার’ নিয়েও গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সারাহ। তিনি বলেন, আসলে আপনাদের দেওয়া টাকায় গড়া তার প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন আয়োজন ও ক্লাসের নামে যে কোনো নারীর সঙ্গে একান্তে মিট করার কারখানা। নারী-পুরুষ একসঙ্গে ক্লাস নেওয়া। যে কো-এডুকেশন শিক্ষার বিরোধিতা তার জবানে অথচ তারই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশার বিশাল আয়োজন। বিভিন্ন কোর্সের ক্লাসের নামে চলে মেয়েদের সঙ্গে সরাসরি বসা আর আলোচনা করা, বেটার থেকে বেস্ট কাউকে খুঁজে নেওয়া।
সারাহ আরও অভিযোগ করেন, এয়ার হোস্টেস জারিন জেবিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে আবু ত্বহা রংপুরের এক আলেমা মেয়েকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ত্বহাপত্নী বলেন, এদিকে এয়ার হোস্টেস জারিন জেবিনের সঙ্গে এনগেজ হওয়ার আগে রংপুরের আরেক মেয়ে যে কিনা তাদের কোনো এক ওমরাহ প্রতিযোগিতার স্টুডেন্ট ছিল, আবার আলেমাও। আপনাদের উস্তাদ সে মেয়েকে ইফতা পড়াবে, তাকে নিয়ে দ্বীনের কাজ করবে, বিয়ে করবে ইত্যাদি কথা দিয়ে তার বাবা-ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছে। পরে যখন এই এয়ার হোস্টেসকে পেল, তখন আবার সেই আলেমা মেয়েকে নানা অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে—আপনি বিয়ে করে নিন ভালো পাত্র পেলে। তখন সেই মহীয়সী নারী আবার উস্তাদের প্রেমে পাগল হয়ে ইন্তেজারের পথ বেছে নিয়েছেন। উস্তাদও কথা দিয়েছে বিয়ে করলে তাকেই করবে।