আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আরও শত শত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে—এ ধরনের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হলেও তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং গুজব বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শফিকুল আলম বলেন, “ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার কোনও পরিকল্পনা নেই।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ধরনের মিথ্যাচার সাধারণ জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা। “বিদ্বেষপূর্ণ গুজবের উদ্দেশ্য আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করা,” বলেন তিনি।
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) ভেঙে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে সরকার আন্তসীমান্ত ও বিদেশি গোয়েন্দা কার্যক্রমের উপর এ সংস্থার কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য সংস্কারের কথা বিবেচনা করছে।
এর আগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শনিবার সেনা সদর তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানায়। সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবির মধ্যে শনিবার সেনা সদরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।