ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী জনগণের পক্ষ থেকে অবিচল সংগ্রাম এবং স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের স্বীকৃতিস্বরূপ, ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
“গণতন্ত্রের জন্য মারিয়া কোরিনা মাচাদোর অহিংস সংগ্রাম এবং সাহসী নেতৃত্ব ভেনেজুয়েলাসহ সারা বিশ্বের মানুষের জন্য এক অনুপ্রেরণা। স্বৈরশাসনের মুখে তার অটল অবস্থান জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
বিশ্বজুড়ে যখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নানা সংকটে, ঠিক তখনই মাচাদোর এই স্বীকৃতি গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোকে নতুন উদ্যম দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা
২০২৪: জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো — হিরোশিমা ও নাগাসাকির বোমা হামলার বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের তৃণমূল আন্দোলন।
২০২৩: ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি — নারী অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদান।
২০২২: বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি, রাশিয়ার মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ — মানবাধিকার রক্ষায় কাজের জন্য।
২০২১: ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ — মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে অবদান।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত
ইতিহাসে দেখা যায়, রেড ক্রস এখন পর্যন্ত তিনবার (১৯১৭, ১৯৪৪, ১৯৬৩ সালে) এই পুরস্কার পেয়েছে।অন্যদিকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (UNHCR) দু’বার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে) এই মর্যাদা অর্জন করেছে।
নতুন অনুপ্রেরণার প্রতীক
মারিয়া কোরিনা মাচাদোর এই অর্জন শুধু ভেনেজুয়েলার নয়, বরং বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো মানুষের জন্য এক প্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠেছে।তার নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে — শান্তিপূর্ণ লড়াইয়েই প্রতিষ্ঠা পেতে পারে প্রকৃত স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার।