পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধি, সংযম ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাস। সারা বছরজুড়েই এ মাসের অপেক্ষায় থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কারণ রমজান শুধু উপবাসের মাস নয়; বরং ধৈর্য, দানশীলতা ও আধ্যাত্মিক পুনর্নবায়নের এক অনন্য সময়।
মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে রমজানের আমেজ যেন শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। রাস্তাঘাটে ভিড়, মসজিদে নামাজিদের উপস্থিতি, দীর্ঘ সময়ের রোজা শেষে পারিবারিক ইফতার—সব মিলিয়ে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
২০২৬ সালের রমজান নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। অনেকেই জানতে চাইছেন—কবে শুরু হবে রমজান ২০২৬?
জ্যোতির্বিদদের হিসাব অনুযায়ী, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হতে পারে ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। পাকিস্তান, সৌদি আরব ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চাঁদ দেখার সময়ের সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।
কিছুদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির জানায়, দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাতজুড়ে রমজান শুরু হতে পারে ২০২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা ১ মিনিটে নতুন চাঁদ দৃশ্যমান হবে, তবে সূর্যাস্তের এক মিনিট পরেই সেটি অস্ত যাবে—ফলে সেদিন চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। এ কারণে রোজা শুরুর সম্ভাব্য দিন ধরা হচ্ছে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
সচরাচর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রোজা শুরুর পরের দিন বাংলাদেশে সিয়াম সাধনা শুরু হয়। সেই হিসেবে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তানে রমজান শুরু হতে পারে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে প্রত্যেক দেশে সরকারিভাবে গঠিত চাঁদ দেখা কমিটি।
আমিরাতের জ্যোতির্বিদদের মতে, ৩৩ বছর পর প্রথমবারের মতো রমজান ও সৌর মাস (গ্রেগরিয়ান) একই দিনে শুরু হতে পারে ২০২৫ সালে। এটি ইসলামী ও সৌর ক্যালেন্ডারের বিরল এক সময়গত মিল হিসেবে দেখা হচ্ছে।