দেশজুড়ে আবারও এলপি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের দাম কমানো হয়েছে, যা সাধারণ ভোক্তাদের জন্য এক দারুণ খবর। অক্টোবর মাসের জন্য ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৪১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এই নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকেই দেশব্যাপী তা কার্যকর হয়েছে।বাংলাদেশ ক্রিকেট জার্সি
বিইআরসি’র চেয়ারম্যানের ঘোষণা: সাশ্রয়ী হচ্ছে দৈনন্দিন জ্বালানি
বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি এলপিজির দাম ছিল ১ হাজার ২৭০ টাকা। সেখান থেকে ২৯ টাকা কমিয়ে চলতি মাসে নতুন দাম ১ হাজার ২৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় করা হয়েছিল, যখন সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এই ধারাবাহিক মূল্যহ্রাস দৈনন্দিন জীবনে জ্বালানি খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
অটোগ্যাসের দামও কমলো: যানবাহনেও সুফল
এলপিজির পাশাপাশি অটোগ্যাসের দামও কমানো হয়েছে। অক্টোবর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ৩৮ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ প্রতি লিটারের দাম ৫৬ টাকা ৭৭ পয়সা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। গত ২ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ সমন্বয়ে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অটোগ্যাসের এই মূল্যহ্রাস পরিবহণ খাতের ব্যয় কমিয়ে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিফলন: বিইআরসি’র ব্যাখ্যা
বিইআরসি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে এই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (Contract Price) প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৪৯৫ মার্কিন ডলার ও ৪৭৫ মার্কিন ডলার। প্রোপেন ও বিউটেনের ৩৫:৬৫ অনুপাত অনুযায়ী গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৪৮২ মার্কিন ডলার বিবেচনায় অক্টোবর মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের এই নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হয়েছে।
মূল্য পরিবর্তনের ধারা: এক নজরে ২০২৪ সাল
বিইআরসি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৪ দফা এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম কমেছে, বিপরীতে বেড়েছে ৭ দফা। এক দফা দাম অপরিবর্তিত ছিল। গত বছর জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এই দুই জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়। অন্যদিকে, এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বরে দাম কমেছিল। ডিসেম্বরে দাম অপরিবর্তিত থাকে। এই মূল্যহ্রাসের সিদ্ধান্ত ভোক্তাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক, যা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি দেবে।