সাধারণত ঠাণ্ডা লাগলে বা কাশি হলেই গলায় ব্যথা হয়। তবে বারবার গলা ব্যথা হওয়ার নেপথ্যে যে এই দুই কারণই থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আরো একাধিক পরিস্থিতির ফলাফল হিসেবে দেখা দিতে পারে গলা ব্যথা।
গলা ব্যথার সঙ্গেই আসে জ্বালা বা গলা খুসখুসের অস্বস্তি।
খাবার বা ঢোক গিলতেও কষ্ট হয় সে সময়ে। উপরন্তু শীতের এই সময়ে মাঝেমধ্যেই সকালে ঘুম ভাঙে গলায় ব্যথা নিয়ে। একাধিক কারণে এই সমস্যা চাগাড় দিতে পারে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা গলা ব্যথার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন।
প্রতিবার গলা ব্যথা হলেই আতঙ্কিত হতে নিষেধ করছেন চিকিৎসক। যে যে কারণে গলা ব্যথা হয়, সেগুলো উল্লেখ করেছেন তারা।
ভাইরাল সংক্রমণ : গলা ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো হলো, ব্যাক্টেরিয়াল বা ভাইরাল সংক্রমণ। এই রোগের পূর্বাভাস হিসেবে গলায় ব্যথা হতে পারে।
কখনো কখনো জ্বর বা নাক বন্ধ হওয়ার আগেও এই লক্ষণ শুরু হতে পারে।
নাক দিয়ে শ্লেষ্মা গলায় পৌঁছানো : নাকের ভেতরে থাকা শ্লেষ্মা নাসাপথ দিয়ে গড়িয়ে গলার পেছনে পৌঁছে যেতে পারে। এটিকে অতি সাধারণ ঘটনা মনে হলেও অনেক সময়ে এই শ্লেষ্মার কারণেই ব্যথা শুরু হতে পারে। মূলত রাতভর এই সমস্যার জমি তৈরি হয়। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় থেকে গলায় ব্যথা হতে থাকে।
এসিড রিফ্লাক্স : এসিড রিফ্লাক্স বা জিইআরডি (গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ) থেকেও গলায় ব্যথা হতে পারে। কারণ পাকস্থলির এসিড খাদ্যনালি বেয়ে গলার পেছনের অংশে উঠে এসে জ্বালা ও প্রদাহের সৃষ্টি করে। এর ফলে গলা ব্যথা, গিলতে অসুবিধা, স্বর কর্কশ এবং সকালে গলা ভাঙা বা ব্যথা হতে পারে।
স্বরযন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার : স্বরযন্ত্র অতিরিক্ত ব্যবহার করলে প্রদাহ বা ল্যারিঞ্জাইটিস হতে পারে। ফলে কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে পড়ে, গলা ব্যথা করে এবং গিলতে অসুবিধা হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যবহারে ভোকাল কর্ডগুলো ফুলেও যেতে পারে।
এ ছাড়া শুষ্ক বাতাস, ধূমপান ও অ্যালার্জেনের কারণেও গলায় ব্যথা হতে পারে। তবে মাঝেমধ্যে ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হলে সতর্ক হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে