ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজা ও দাফন শেষে জনসাধারণকে শাহবাগে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে হাদির ওপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তারে সপ্তাহব্যাপী কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জানাজার আগমুহূর্তে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এ আল্টিমেটাম দেন।
কোনো ধরনের সহিংসতার আহ্বানে সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাবের বলেন, ইনকিলাব মঞ্চ থেকে সব ধরনের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হাদির ওপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীকে সপ্তাহব্যাপী তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে জানানোর দাবি করেন তিনি।
এর আগে হাদির জানাজায় বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি হাদির জন্য সকলের কাছে দোয়া চান। জাবেরের পর বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর বক্তব্য রাখেন হাদির বড় ভাই। এবং তিনিই হাদির জানাজার নামাজে ইমামতি করেন।
এদিন সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। এরপর গোসলের জন্য সেখান থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পৌঁছায় তার মরদেহ।
এদিকে, এদিন ভোর থেকেই হাদিকে শেষবারের মতো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই জড়ো হন হাসপাতাল এবং জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। জানাজায় অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জানাজা প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার সার্জারি হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।