হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনায় জন্য দোয়া চাওয়ায় হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে এক ব্যক্তি।
নোয়াখালী সদর উপজেলায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনায় জন্য দোয়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে নুরনবী টিপু নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তি বর্তমানে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৯) ডিসেম্বর জুমা নামাজ পরে নোয়াখালী সদর উপজেলা কাদির হানিফ ইউনিয়নে জসিম চেয়ারম্যান বাড়ি পাশে বায়তুল জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নুরনবী টিপুর বাবা আবদুল মালেক অভিযোগ করেন, জুমার নামাজ আদায়ের পর আমার ছেলে হাদির জন্য দোয়া চাওয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বাঁধা দেয়। একপর্যায়ে কথাকাটাকাটির জেরে ছেলের ওপর হামলা চালায় তারা। হামলায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তারা লাঠিসোটা ও কিল-ঘুষি দিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত ব্যক্তির ছেলে জিসান জানান, একজন মানুষের জন্য দোয়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে এভাবে হামলা চালানো অমানবিক। আওয়ামী লীগের যারা এ কাজ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।
এ বিষয়ে নোয়াখালী-৪ আসনের গণঅধিকার পরিষদের মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুজ জাহের জানান, আহত নুরনবী টিপু নোয়াখালী জেলার গণঅধিকার পরিষদের সদস্য। ইনকিলাবের মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ উসমান হাদির জন্য জুমা নামাজ পর দোয়া চাইলে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল, সোহাগ, এনায়েতউল্লাহ, আনোয়ারসহ কয়েকজন ক্যাডার হামলা করে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আওয়ামী লীগ এখনও সক্রিয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায়। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার না করলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
নোয়াখালী সদর সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, হামলার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে যারা হামলা করেছে তারা আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপিপন্থী। একই বাড়ির লোক তারা। এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।