বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। চার বছর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই কূটনীতিক এবার রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে দায়িত্ব নেবেন।
ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন নিজেই রাষ্ট্রদূত হিসেবে সিনেটের অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৮তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মার্কিন স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে দেওয়া এক পোস্টে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের অনুমোদন পেয়ে আমি সম্মানিত। এ জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আগে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ওয়াশিংটন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এই কর্মকর্তা এর আগে মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের কমান্ডারের বৈদেশিক নীতি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি আমেরিকার বৈশ্বিক কৌশলগত সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর বাইরেও তিনি ম্যানিলা, সান সালভাদর, রিয়াদ এবং হো চি মিন সিটির মার্কিন দূতাবাসে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া নীতি ও অস্ত্র হস্তান্তর বিষয়ক দপ্তরেও কাজ করেছেন।
ক্রিস্টেনসেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়ার কলেজ থেকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পাশাপাশি টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর এবং রাইস ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি স্প্যানিশ, জার্মান এবং ভিয়েতনামী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকায় সবশেষ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন পিটার হাস। তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ অবসরপ্রাপ্ত আরেক পেশাদার কূটনীতিক ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দিয়ে পাঠায়।