শীতে পেটের উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা কমে গেলে হজমে গণ্ডগোল দেখা দেয়। তবে অনেক সময় পেটের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের নেপথ্যে কাজ করে নির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সরাসরি কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি না করলেও হজমপ্রক্রিয়ায় থাকা শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপগুলোতে এর স্পষ্ট প্রভাব পড়ে।
হজম সমস্যায় ভুগলে খাদ্যতালিকায় ফাইবারযুক্ত খাবার রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। কলা, আপেল, পেয়ারা, বেলসহ বিভিন্ন ফল এবং টাটকা শাকসবজি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শাকসবজি, ফল, দুধ, ডিম, মাছ ও মাংস খেলে পেটের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুই-ই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ভিটামিন ডি:
মাশরুম, ডিম, দুধে থাকা ভিটামিন ডি শুধু হাড় মজবুত রাখে না; পেটের পেশি ও স্নায়ুর কার্যকারিতার সঙ্গেও জড়িত। এর ঘাটতি হলে হজমক্ষমতা কমে গিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন সি:
আমলকী, লেবু ও ক্যাপসিকামে থাকা ভিটামিন সি অন্ত্রে পানিশোষণ-সহায়ক একটি পরত তৈরিতে ভূমিকা রাখে। ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে মল নির্গমন ব্যাহত হতে পারে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ে।
ভিটামিন বি১ (থিয়ামিন):
মাছ ও বাদামে পাওয়া যায় ভিটামিন বি১। এটি বিপাকক্রিয়া ও পরিপাককারী উৎসেচকের কার্যকারিতা বজায় রাখে। এই ভিটামিনের অভাবে গ্যাস ও হজমসমস্যা দেখা দিয়ে পেট পরিষ্কার হতে সমস্যা হতে পারে।
ভিটামিন বি১২:
মাংস, মাছ ও ডিমে থাকা ভিটামিন বি১২ রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর ঘাটতিতে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে গিয়ে হজমপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে, দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত সুষম খাদ্যাভ্যাস ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণের মাধ্যমেই বেশির ভাগ পেটের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।