ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলার পর হামলাকারীদের পালাতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা ফিলিপ স্নালের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালালেও এখনো তিনি পলাতক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সাল ও আলমগীর ফিলিপের সহায়তায় হালুয়াঘাট সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছেন। তবে তারা আদৌ সীমান্ত পেরিয়েছেন নাকি এখনও দেশের ভেতরে আত্মগোপনে আছেন—তা নিশ্চিত হতে ফিলিপকে গ্রেপ্তার করা জরুরি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহ বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ফিলিপের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভুটিয়াপাড়া এলাকার সঞ্জয় চিসিম (২৫) ও বিড়ইডাকুনী এলাকার সিবিরণ দিও (৩৫) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, হামলার পর ফয়সাল ও আলমগীর মিরপুর থেকে একটি প্রাইভেটকারে গাজীপুর হয়ে ময়মনসিংহে আসেন। পরে ধারা বাজারসংলগ্ন একটি ফিলিং স্টেশনের কাছে নেমে ফিলিপ স্নালের মোটরসাইকেলে করে ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় পৌঁছান। নির্জন এলাকা হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ADVERTISEMENT
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের নিচে একাধিক কালভার্ট ও সুরঙ্গ রয়েছে, যা দিয়ে সহজেই সীমান্ত পার হওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব পথ ব্যবহার করেই হামলাকারীদের ভারতে পাচার করা হয়েছে। ফিলিপের বাড়ি থেকে ভারতের কাঁটাতারের দূরত্ব প্রায় ২০০ গজ। স্থানীয়দের দাবি, তিনি প্রায়ই ভারত যাতায়াত করতেন।
তবে ফিলিপ স্নালের পরিবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার ছোট বোন সালচি স্নাল বলেন, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার ভাইকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিজিবি সেক্টর কমান্ডার জানান, সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে এবং ফিলিপকে আটক করা গেলেই মানবপাচার, অর্থ লেনদেন ও সীমান্ত পারাপারের পুরো নেটওয়ার্ক স্পষ্ট হবে। হামলাকারী ও মানবপাচারে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান ও সীমান্ত নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।