২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অনেক জমির দলিল বাতিল হওয়ার পথে রয়েছে। এটি “ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩” এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালার আওতায় নেওয়া উদ্যোগ। সরকারের উদ্দেশ্য হলো—সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির সুনির্দিষ্ট সীমারেখা নিশ্চিত করা এবং জাল দলিল, ভূয়া মালিকানা ও অবৈধ দখল প্রতিরোধ করা।
বাতিল হতে পারে এমন জমির মধ্যে রয়েছে—জাল দলিলের মাধ্যমে দখলকৃত জমি, সরকারি খাস জমি যার ব্যবহার বা বিক্রয় শর্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে, ভারতে চলে যাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের ফেলে যাওয়া জমি যা অন্যের নামে অবৈধভাবে দলিল হয়েছে, এবং মন্দির, মঠ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দানকৃত জমি যা কেউ জাল দলিলের মাধ্যমে নিজের নামে করে নিয়েছে।
এছাড়া অতিরিক্ত জমি বিক্রি, দাগের অমিল, অবৈধ হেবা দলিল, ওয়ারিশি জমি আদালতের রায় ছাড়া বিক্রি করা, একই জমির একাধিক দলিল তৈরি করা এবং পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির অপব্যবহার—এসব ক্ষেত্রেও দলিল বাতিল হতে পারে।
জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। বন্টননামা দলিল, আদালতের রায়, নামজারি কাগজ ও জমির সীমানাসহ সব কাগজপত্র যাচাই করা প্রয়োজন। ২০২৫ সালে দেশের ভূমি ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে, তাই বৈধ দলিল ছাড়া জমি কেনা ঝুঁকিপূর্ণ। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ভবিষ্যতে জালিয়াতি ও বিরোধ এড়ানো সম্ভব।