বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম শুক্রবার আরও বেড়েছে। ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমাতে পারে—এমন প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীদের আস্থায় টানা চতুর্থ মাসের মতো স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মুদ্রাবাজার ও পণ্য ফিউচারসহ বিভিন্ন খাতে লেনদেন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় সিএমই-এর প্ল্যাটফর্মে। লেনদেন থামার ঠিক আগে ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সোনা ফিউচারসের দাম ছিল প্রতি আউন্স ৪,২২১.৩০ ডলার।
এবিসি রিফাইনারির গ্লোবাল হেড নিকোলাস ফ্রাপেল বলেন, “ফিউচারস লিকুইডিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওটিসি বাজারে দামের ব্যবধান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”
শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম ০.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৪,১৮৫.৩৪ ডলার প্রতি আউন্সে, যা ১৪ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সাপ্তাহিক হিসেবেও স্বর্ণ ৩ শতাংশ লাভে রয়েছে এবং মাসজুড়ে বেড়েছে প্রায় ৩.৯ শতাংশ।
কেসিএম ট্রেড-এর প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, “বাজারে লিকুইডিটি কিছুটা কম, যা দামের ওঠানামা আরও বাড়াচ্ছে। সুদের হার কমার আগাম প্রস্তুতির কারণেই সোনার আকর্ষণ বাড়ছে।”
ট্রেডাররা এখন ডিসেম্বরেই সুদের হার কমার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ ধরে নিচ্ছেন, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল মাত্র ৫০ শতাংশ। সান ফ্রান্সিসকোর ফেড প্রেসিডেন্ট মেরি ডেইলি এবং ফেড গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারের সাম্প্রতিক মন্তব্যও এ প্রত্যাশাকে আরও জোরদার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই জেরোম পাওয়েলের সম্ভাব্য উত্তরসূরি কেভিন হ্যাসেটও বলেছেন যে সুদের হার আরও কমানো উচিত। সুদের হার কমলে ফলনহীন সোনার প্রতি চাহিদা সাধারণত বেড়ে যায়।
অন্যদিকে, দুর্বল ডলারের কারণে স্বর্ণের দাম আরও সহায়তা পেয়েছে। ডলার সূচক জুলাইয়ের পর সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহের মুখোমুখি, ফলে অন্য মুদ্রায় কেনার ক্ষেত্রে সোনা তুলনামূলক সস্তা হয়ে উঠেছে।
অন্যান্য ধাতুর বাজারেও ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা—স্পট সিলভার ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩.৯৮ ডলার প্রতি আউন্সে। প্লাটিনাম ২.৩ শতাংশ বেড়ে হয় ১,৬৪৫.৬০ ডলার এবং সপ্তাহজুড়ে ধাতুটি ৮.৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে রয়েছে। পালাডিয়াম ০.৪ শতাংশ কমে দাঁড়ালেও সপ্তাহের হিসাবে এখনো ৪.৩ শতাংশ লাভে রয়েছে।