শীতে চুলকানির সমস্যার সম্মুখীন হন কমবেশি সবাই। তবে এর কারণ কী, কখনো ভেবে দেখেছেন? আসলে শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে চুলকানির পাশাপাশি চর্মরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। শীতকালীন চুলকানি বা উইন্টার ইচ হলো এক ধরনের ডার্মাটাইটিস বা ত্বকের জ্বালা। শীতে এই সমস্যা কমবেশি সবার ত্বকেই দেখা দেয়। এছাড়াও, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের অভাবও ত্বকের চুলকানির কারণ হতে পারে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি:
ভিটামিন ডি:
১. শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকায় শরীরে ভিটামিন ডি-এর উৎপাদন কমে যায়।
২. ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের মতো প্রদাহজনিত ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে, যা চুলকানি বাড়ায়।
ভিটামিন এ ও ক্যালসিয়াম:
এই ভিটামিন বা খনিজ উপাদানের ঘাটতিও ত্বকের চুলকানির কারণ হতে পারে।
কেন শীতকালে চুলকানি হয়:
১. শীতকালে ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
২. ঘরের ভেতরের হিটার বা তাপের কারণে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়, যা ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে।
৩.শীতকালে ঘন ঘন হাত ধোয়ার কারণেও ত্বক শুষ্ক হতে পারে।
করণীয়:
১.সূর্যের আলোতে সময় কাটান: সম্ভব হলে অল্প সময়ের জন্য সূর্যের আলোতে থাকুন, বিশেষ করে শীতের সকালে।
২.সুষম খাবার: ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- তৈলাক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, এবং ভিটামিন এ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।
৩.ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: গোসলের পরপরই ত্বকে তেল-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
৪.ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি চুলকানি তীব্র হয়, তাহলে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সঠিক চিকিৎসা এবং ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের ডোজ নির্ধারণ করতে পারবেন।
সূত্র: বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট