চুল পড়া সমস্যা এখন শুধু পুরুষদের নয়, মহিলাদের মধ্যেও বাড়ছে। প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি চুল পড়ার পরিমাণ তার চেয়ে বেশি হয় বা নতুন চুল গজাতে না পারে, তখন এটি সতর্কবার্তা। বিশেষ করে সামনের অংশে চুল ফাঁকা হয়ে যাওয়া এবং টাক পড়ার প্রারম্ভিক লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসা বা ঘরোয়া প্রতিকার নেওয়া জরুরি।
ঘরোয়া তেল: চুল পড়া রোধের সহজ ও কার্যকর উপায়
গবেষণাপত্র অনুযায়ী, কিছু প্রাকৃতিক তেল চুল ও মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ কার্যকর।
১. ক্যাস্টর অয়েল ও নারকেল তেলের মিশ্রণ:
ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে ওমেগা ৩, ওমেগা ৬ এবং রাইসিনোলেয়িক অ্যাসিড, যা চুলকে শক্ত ও নরম রাখে। চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। ব্যবহার পদ্ধতি:
১–২ চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ১ চামচ নারকেল তেল ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
ধীরে ধীরে মাথার তালু ও চুলে মালিশ করুন।
৩০ মিনিট পরে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
২. রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল:
রোজমেরি তেল চুলের জুতানো ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাজারে সহজলভ্য এই তেলের ৫–১০ ফোঁটা অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে রোজমেরি মিশিয়ে ধীরে ধীরে মাথায় মালিশ করুন।
অন্তত ১০ মিনিটের মালিশ করুন এবং পরে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
৩. আমলকি তেল:
আমলকিতে রয়েছে কোলাজেন ও ভিটামিন ই, যা চুলের পুষ্টি যোগায় এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। খুশকির সমস্যাও কমায়।
আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে নারকেল তেলের সঙ্গে হালকা আঁচে গরম করুন।
নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে এবং চুল মজবুত হয়।
নিয়মিত ব্যবহারেই ফল পাওয়া যায়
চুল পড়া ও টাক পড়ার সমস্যা মোকাবেলায় ধারাবাহিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে ৩–৪ দিন নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে, নতুন চুল গজাবে এবং মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে।