অপরাধে ভারতে ও বাংলাদেশে কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, তা প্রত্যর্পণের যোগ্য। এর মধ্যে হত্যা, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, সহিংস অপরাধ ছাড়াও আর্থিক ও রাজস্ব ক্ষেত্রের অপরাধও অন্তর্ভুক্ত। একইসাথে সহায়তা করা, উসকানি দেয়া বা সহযোগী হিসেবে অংশ নেয়াও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
আবার, কোনো ব্যক্তি অভিযুক্ত, অভিযুক্ত হয়ে পলাতক বা দণ্ডিত হয়ে অন্য দেশে পালিয়ে গেলে দুই রাষ্ট্রই তাকে ফেরত চাওয়ার আবেদন করতে পারে। এর উদ্দেশ্য হলো, বিচার সম্পন্ন করা বা পালিয়ে যাওয়া দণ্ড কার্যকর করা।
এসবের মাঝেই, বুধবার দিল্লিতে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডক্টর খলিল এবং অজিত দোভালের মধ্যে দ্বিপাক্ষীক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ওই, বৈঠকে হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না সেবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানা যায়নি। আর আইসিটি আদালতের রায়ের পর কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনা এবং কামালকে প্রত্যপর্ণে দিল্লিকে অনুরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
এরইমধ্যে, কূটনৈতিক পত্র প্রস্তুতও হয়ে গেছে। তবে এখনও দিল্লির কাছে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে।