অবশেষে ভূমি মালিকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটতে যাচ্ছে। বাতিল করা হচ্ছে বর্তমান নামজারি পদ্ধতি—এখন থেকে আলাদা করে নামজারির আবেদন করতে হবে না। সরকার বলছে, নতুন স্বয়ংক্রিয় নামজারি (অটোমেশন) প্রক্রিয়ায় দলিল রেজিস্ট্রির সঙ্গেই সম্পন্ন হবে নামজারি।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই ব্যবস্থা ইতোমধ্যে দেশের ৩০টিরও বেশি উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন তা সারাদেশে চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমি রেজিস্ট্রির সময়ই জমির দাতা ও ক্রেতার তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা হবে—দাতা আসল মালিক কিনা, জমিতে কোনো বিরোধ আছে কিনা, জমাখারিজ বা খতিয়ান হালনাগাদ রয়েছে কিনা—সব কিছুই একসঙ্গে নিশ্চিত করা হবে।
এই যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর দলিল রেজিস্ট্রির সঙ্গে সঙ্গেই ভূমি অফিস থেকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ যাবে, এবং সেই মুহূর্তেই নতুন মালিকের নামে নামজারি হয়ে যাবে। অর্থাৎ, আর আলাদা করে আবেদন বা দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, এই স্বয়ংক্রিয় নামজারি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও হয়রানির সুযোগ বন্ধ হবে। আগে যেখানে আবেদন, ঘুষ, দেরি ও অস্পষ্টতার কারণে বছর বছর ভোগান্তি চলত, এখন একবার দলিল রেজিস্ট্রি করলেই ভূমি মালিক পাবেন খতিয়ান, হোল্ডিং নম্বর ও খাজনা প্রদানের পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র একসঙ্গে।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, “এই বছরের মধ্যেই ভূমি মালিকরা নতুন স্বয়ংক্রিয় নামজারি ব্যবস্থার সুফল পাবেন। এটি কার্যকর হলে নামজারি সংক্রান্ত দুর্নীতি, দেরি ও হয়রানি চিরতরে বন্ধ হবে।”
নতুন ব্যবস্থাটি বাস্তবায়িত হলে ভূমি অফিসে নামজারি নিয়ে বছরের পর বছর ঝুলে থাকা আবেদন ও জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।