শীত বাড়তেই গোসল নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তা যেন আরও বেড়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঠান্ডা লাগবে বলে অনেকে গোসল এড়িয়ে যান, আবার কেউ কেউ রাতে গরম পানি দিয়ে গোসল করে ঘুমাতে পছন্দ করেন। কিন্তু শরীরের জন্য কোনটি বেশি ভালো—সকালের গোসল নাকি রাতের? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে গোসলের সময় ঠিকমতো নির্ধারণ করতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে ঘুম, ত্বক—অনেক কিছুর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সকালের গোসল কেন ভালো?
রক্তসঞ্চালন বাড়ায়: শীতের সকালে গরম পানি দিয়ে গোসল শরীরের রক্তসঞ্চালন সক্রিয় করে।
মন সতেজ করে: সকালের গোসল মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে মন ভালো রাখে, কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে: শীতকালে ত্বক দ্রুত শুকিয়ে যায়। সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শুষ্কত্ব কমে।
রাতে গোসলের সুবিধা
ঘুম ভালো হয়: রাতে গোসল করলে শরীর শান্ত হয়, স্ট্রেস কমে, ঘুম গভীর হয়।
দিনভর ময়লা দূর হয়: বাইরে কাজ করা মানুষদের জন্য রাতে গোসল স্বাস্থ্যকর, কারণ ত্বক-চুলে লেগে থাকা ধুলো-ময়লা দূর হয়।
ঠান্ডা-কাশির ঝুঁকি কম: রাতের গোসলে অনেকেই বেশি স্বস্তি পান, বিশেষ করে যাদের সকালে বাতাসের ঠান্ডা বেশি কষ্ট দেয়।
তাহলে কোনটি ভালো?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে সকালে বা রাতে—যেকোনো সময় গোসল করা যায়, তবে নিজের শারীরিক অবস্থা ও দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ী সময় ঠিক করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সকালে ঠান্ডা লাগে? → রাতের গোসল বেছে নিন।
রাতে ভালো ঘুম আসছে না? → ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে গরম পানিতে গোসল করুন।
সকালের কাজের শুরুতে সতেজ থাকতে চান? → সকালের গোসলই সবচেয়ে কার্যকর।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—ঠান্ডা পানি নয়, সবসময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা। এতে শীতজনিত সর্দি, পেশির ব্যথা ও ত্বকের সমস্যা কমে যায়।